কাঁঠাল ও শিয়ালের গল্প

কেউ বলে ১৯৭৫ সালের পর কাঁঠাল গাছটি হরমুজ আলির চারাজমির আইলের পাশে নিজে নিজে গজিয়েছে। কেউ বলে কোন এক শিয়ালের মল থেকে বীজ পড়ে অযত্নে অবহেলায় কিছুটা বড় হবার পর হরমুজ আলির নজরে এসেছে। আলো বাতাস পেয়ে তড়তড়িয়ে চারা গাছটি যুবতী গাছে পরিণত হতে বিলম্ব করেনি। পাঁচ কি ছয় বছরের মাথায় মুচি দেখা দিলো কচি  খোকার নুনুর মতো। হরমুজ আলি বিস্ময় দৃষ্টিতে দেখেছিল। এমন সংবাদ কাকে বলবে ভেবে পায়নি। স্ত্রীকে বললেও শুনবে না, শুনলেও মনোযোগ দিবে না, বাড়িতে আরও কাঁঠাল গাছ আছে। মনের কথা মনে থাকে। হরমুজ আলি কম বয়সে বিয়ে করাতে তার ছেলে তরমুজ আলি লম্বাসম্বায় প্রায় তার সমান। ছেলেকে বলবে ভেবে রেখেছে।  

ছেলেও কাঁঠাল গাছের মুচি দেখেছে, কাঁঠালের ডিগি দেখেছে। জানতে চেয়েছে বাপের কাছে, এটা কোন জাতের কাঁঠাল। বাপ তার তেড়ছা কথায় জবাব দিয়েছে, ভালো জাতের হবে না, অজাইত্তা জাতের হবে, শিয়ালের মল  প্যাঁচানো ছিল, চুরি করে খেয়েছে কারও গাছের কাঁঠাল। ছেলে তরমুজ আলি তো আবাক, বাপ তার এসব কেন বলে! শিয়াল তো কাঁঠাল চুরি করেই খাবে, নাকি গিরস্থের ঘরে গিয়ে বলবে, আপনাদের মেহমান এসেছি গো, যদি গাছের পাকা কাঁঠাল থাকে খেতে দিন আর নতুবা রাতের বেলায় আপনাদের মুরগী টুরগী সাফ কইরা ফালামু। বাপ কেন এসব বলে!  কাঁঠাল হলো না, খাওয়া হলো না, আন্দাজি কয় অজাইত্তা জাতের কাঁঠাল। ডাল পাতা দেখে তো অনুমান করা যায় না, ভালো হবে না মন্দ হবে।

শিয়ালের হাগা থেকে বীজ ভূমিতে পড়ে গাছ হলে কী হয় দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

প্রথম বার গাছে চারটি কাঁঠাল ধরল। হরমুজ আলি বলল, বাড়ির কাউকে বলার দরকার নেই। গাছ পাকা কাঁঠাল নামালে বাড়ির অন্য সকলকে চমকে দেয়া যাবে। ছেলে, তরমুজ আলির আপত্তি নেই।

একদিনে বাপ পুতে একমত হয়ে কাঁঠাল কেটে বাড়িতে আনে, পাকা কাঁঠাল। হরমুজের স্ত্রী তরমুজের মা খুশি। জানতে চায়, কোন গাছের কাঁঠাল! নতুন গাছের কথা শুনে অভিমান করে, তাকে কেন জানানো হলো না! 

কাঁঠাল ভাঙা হলো অসংখ্য কথার ভেতর গভীর নীরবতাসহ। হরমুজ তরমুজ, বাপ-পুত একবারে চুপ। কাঁঠাল ভাঙার পনেরো-কুড়ি মিনিট পরেও চুপ। হরমুজ তরমুজ, তরমুজের মা—তিনটি প্রাণী চিৎকার দিলে অন্যায় হতো না। যেন কেউ তাদের গলা চেপে ধরে আছে । 

কাঁঠালের ভেতর কোন কোষ নেই। মোদ্দাটা বেশ বড় লম্বা যেন বন্দুকের কোন্দা। ভেতরের চারদিকে ভুতি আর ভুতি। কাঁঠালের মোট ওজন ভুতি আর কোন্দা মার্কা মোদ্দার যোগফলের সমান।

‘বলছিলাম না অজাইত্তা জাত। এত বড় কাঁঠাল, কোন কোষ নাই। কে বিশ্বাস করবে ভুতি আর গাব্বাগোব্বা মোদ্দাটায়!’

হরমুজ আলির কথায় ছেলে তরমুজ আলি তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। বাপ কৃষকের জাত, আন্দাজ বড় গভীর।
বাপ-পুত দুজনে অপেক্ষায় রইল অন্য তিন কাঁঠালে কী ধরনের কোষ দেয় দেখার জন্য। 
এক সপ্তাহ অন্তর চারটি কাঁঠাল গাছ থেকে নামল এবং একেই রকম ফল পাওয়া গেল।

হরমুজ আলি মাথায় আগুন ও হাতে কুড়াল নিয়ে কাঁঠাল গাছের কাছে গেল। তার ছেলেকে বলল, তুই আগে কুপ দে। তরমুজ আলি কুড়াল হাতে নিয়ে বাপকে বলল, একবার বিবেচনা করে দেখ, গাছটা থাক, কোষ নাই ক্ষতি কী, গরু ছাগলে তো ভুতি খায়, গাছ রয়ে গেলে কাঠ হবে। কাঁঠাল গাছের কাঠ, হলদে পাড় হয়ে সোনারং ধরে, একটা আলিসান চেয়ার বানাব, শেষ বয়সে তুমি ওটাতে আরাম করে বসবা, আর গল্প করবা, এই গাছে কাঁঠাল হতো কিন্তু কোষ হতো না। মানুষ শুনবে, বিশ্বাস করবে—অবিশ্বাসও করবে। তোমার কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে।

হরমুজ আলি বলে, গাছ কাটা ঠিক না। কিন্তু এমন অজাইত্তা গাছ  তো  বাপের জন্মে দেখি নাই। ঠিক আছে তোর কথাই রইল, কিন্তু আমার অছিয়ত আছে, এই গাছের কাঁঠাল কাউকে দেয়া যাবে না, বাজারে নিয়ে বিক্রি করা যাবে না, কেউ আবদার করলে, জোর আবদার করলেও দেয়া যাবে না, দিলে আমার মান সম্মান যাবে। আমি ছোট হতে পারব না।

ছেলে তরমুজ আলি মাথা পেতে বাপের সকল অছিয়ত মেনে নিল। বাপ যা বলেছে সব ঠিকঠিক পালন করবে। এই কাঁঠাল শুধু গরু ছাগলে খাবে। এই গাছ কোন একদিন কাটা হবে, চেয়ার বানানো হবে। সেই চেয়ারে হরমুজ বসবে, হরমুজ বয়সে বেড় না-পেলে তরমুজ বসবে, তরমুজ বয়সে বেড় না-পেলে খরমুজ বসবে। খরমুজ, তরমুজের বড় ছেলে। মাত্র গোঁফ দেখা দিয়েছে। বাপ দাদার চেয়ে খরমুজ বেশ চালাক চতুর। কাঁঠালের অছিয়ত তার দ্বারা রক্ষা হবে কিনা সন্দেহ আছে। খরমুজ কাঁঠাল সংক্রান্ত সকল খবর জানে, অছিয়তের সবটা জানে।

তারপর ৭৬ অথবা ৭৯ অথবা ৮০ সালের কোন এক বৈশাখে সত্যি সত্যি খরমুজ আলি একটি বড় সাইজের কাঁঠাল বাজারে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। কোষবিহীন কাঁঠাল সে জেনে শুনেই বিক্রি করল।

বাড়ি থেকে সামান্য দূরে বাজার। সেদিন বাজারে কাঁঠাল খুব বেশি উঠেনি। সীমান্তের বাজারে প্রায় কাঁঠাল আসে, কিন্তু সেদিন আকাশ কেমন ঝাপসা ছিল। মাঝ বয়সী সাইদুর মাস্টার তড়িগড়ি করে কাঁঠাল কিনল। কিনতে কিনতে বলছিল, বাবা—তোমার বাড়ি কোথায়!  বাবা—কাঁঠাল ভালো  হবে তো! মিষ্ট হবে তো! তুমি শুধু একটা কাঁঠাল নিয়ে বাজারে এসেছ! তুমি অন্যকোন ব্যাপারী থেকে কাঁঠাল নিয়েছ নাকি! নাকি তোমাদের নিজের গাছের? মিষ্ট হলে তোমাকে দোয়া করব।

টাকায় টাকা তার ওপরে দোয়া। ধর্ম আর অর্থ এক সঙ্গে খরমুজের মনে হাসির ফোয়ারা তৈরি করল।
সাইদুর মাস্টার, সহজ লোকটা বাড়িতে নিয়ে কাঁঠাল ভাঙল স্ত্রী পুত্র কন্যার সম্মুখে। সকলে দেখল কাঁঠালে কোনো কোষ নেই।
সাইদুর মাস্টার অবাক। তার ছেলে মুসা বিস্মিত। স্ত্রী কন্যা একবারে বোবা।

মুসা, জানতে চাইল কার থেকে সে কাঁঠাল কিনেছে। সাইদুর মাস্টার একবারে পাথর। তিনশো টাকার কাঁঠালে কোষ নেই। ভেতরে শুধু ভুতি আর আস্তা একটা দশাসই পিচ্ছিল মোদ্দা। মোদ্দার চোখহীন শরীর। লেপ্টানো অন্ধত্ব। কেমন যেন  গোঁয়ার, তব্দা মেরে শুয়ে আছে ভুতির হিলিবিলিতে।  সাইদুর মাস্টারের স্ত্রী জাহেদা বেগম পইপই করে ভুতির ভেতর কোষ খুঁজল। শেষে হতাশ হয়ে বলল, ‘এমন অখাদ্য বাপদাদার জীবনে দেখিনি।’
এবার ছেলে বলে, ‘আব্বা কে তোমাকে ঠকাল? চলো বাজারে চলো।’
...বাজারে গিয়ে লাভ নেই। মনে হয় এই ছেলে সবসময় বাজারে কাঁঠাল বিক্রি করতে আসে না। গ্রামের নাম বলেছে, কিন্তু এখন তো মনে করতে পারছি না।

তখন সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে গেছে। তবু, সাইদুর মাস্টারের ছেলে মুসা বাজারে গেল। বাজারে গিয়ে ফলপট্টির প্রতিটা বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করল কিন্তু কেউ বলতে পারল না। ছেলেটা কে। ছেলেটা সম্পর্কে কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। পরদিন বাপবেটা দুজনে খুঁজে নিশ্চিত হলো, নদী পাড়ের তাকপাড়া অথবা ধশপাড়ার কেউ এ কাজ করেছে। সাইদুর মাস্টার কষ্ট পেল। মুখে কোন কথা না বললেও তার নীরবতা পরিবারের সকলকে চিন্তিত করল। মুসা বিষয়টিকে মনে মনে পোষে রাখল—‘বাচাধনের দেখা হলে টের পাওয়াব।’

খরমুজ আলি সংবাদ পায় তাকে বাজারে তালাশ করা হয়েছে। বিষয়  জটিল হয়ে ওঠছে টের পায় খরমুজ। তখন খরমুজ মীমাংসার সহজ পথ খুঁজে। প্রয়োজনে টাকা ফেরত দিবে এবং ক্ষমা চাইবে। কিন্তু খরমুজ কারও নিকট বিস্তারিত বলতে পারে না। সাইদুর মাস্টারের দেখাও পায় না। ক্ষমা চাইবে কার কাছে? 

অবশেষে তার কলেজ সহপাঠি পিউলি আকতার তাকে এক কাঁঠালের গল্প শুনায়, যে কাঁঠালে কোন কোষ নেই, যে কাঁঠালের ক্রেতা পিউলির নানা সাইদুর মাস্টার। পিউলি কাঁঠাল কাহানি বলে আর হাসে। পিউলি হাসে যত তার তিনগুণ চুপ হয় খরমুজ আলি। পিউলি বলে, ‘কী হয়েছে খর, তোকে এমন চিন্তিত লাগছে কেন?’

খরমুজ আলি বলে, তোর সাইদুর নানার কয় ছেলে কয় মেয়ে, না ঠিক আছে কয় মেয়ে বলতে হবে না, তোর মামা কয়জন?
পিউলি বলে, আমার মামা একজন, কিন্তু  কেন খর? 
তখন খরমুজ আলি কাঁঠাল কাহানির আগাগোড়া সবিস্তারে বয়ান করে।
সবশুনে পিউলি বলে, তুই তো অসাধারণ কাজ করেছিস, তবে তোর এ কাজ করা ঠিক হয়নি। ৩০০ টাকার জন্য একটা লোককে কোষ ছাড়া কাঁঠাল গছানো ঠিক হয়নি।
পিউলি জানতে চায় সে কেন এমন কাজ করেছে। 
খরমুজ বলে, একটা কালো চশমা কেনার শখ হয়েছিল।  
...কালো চশমা কেন? 
খরমুজ বলে, ভাদ্র মাসের রোদ তার সহ্য হয় না। 
পিউলি এ যুক্তি মানতে পারে না।
তখন খরমুজ বলে, একটা খেলনা পিস্তল কিনার শখ হয়েছিল। 
...খেলনা পিস্তল কেন? 
খরমুজ বলে, হাতের নিশানা ঠিক করার জন্য।
পিউলির নিকট তাও যুক্তিযুক্ত মনে হয় না। 
এবার খরমুজ বলে, একটা কনক বেত বগল তলে রাখার উসকানি সবসময় শরীরে লেগেছিল। 
পিউলি বলে, এ আবার কেমন বিষয়? 
খরমুজ বলে, আমার দুই বগল তল সবসময় চুলকায়, বগল তলে বেত রাখলে চুলকানি চলে যায়। 
পিউলির নিকট এই যুক্তিও ফালতু মনে হয়।

তখন খরমুজ বলে কিসের জন্য কোষ ছাড়া কাঁঠাল বিক্রি করেছি তা জেনে লাভ কী। আমি অপরাধ করেছি। এখন তোর নানা সাইদুর মাস্টারের নিকট নিয়ে চল, তুই আমাকে ক্ষমা চাওয়ার ব্যবস্থা করে দে।
পিউলি বলে, তুই নিজে গেলে তিনি ক্ষমা করে দিবেন। আমাকে নিয়ে গেলে বিষয় পাল্টে যাবে। মনে করবে তোর আর আমার মধ্যে কোন সম্পর্ক রয়েছে। খরমুজ বলে, সম্পর্ক তো আছেই। পিউলি এবার খরমুজের দিকে আবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এমন বেয়াদপ লোক সে জীবনে দেখেনি।
তারপর একদিন পিউলি তার নানার নিকট এবং তার মামা মুসার নিকট বিস্তারিত বললে তারা বলে, এই  লোক তো এমনিতে মরে যাবে। জেনে শুনে যে কোষবিহীন কাঁঠাল বাজারে এনে বিক্রি করে সে নিশ্চয়ই ভালো মানুষ না। 
পিউলি এই কথার ভেতর কোন জোর পায় না। পিউলির মনে হয় তার নানা এবং মামার অভিমানের ওজন বেড়ে গেছে। 

তারপর ১৯৮১ সালের কার্তিকের কালে নদীর চরে প্রচণ্ড ধুল্লা উড়ানিতে লোকজন দ্রুত ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে, তারা টের পায় এই অঞ্চলের অসংখ্য জমিনের ওপর দিয়ে শহর থেকে লোকজন এসেছে এবং গ্রামের লোকজনও হল্লা করে শস্যের শরীর মারিয়ে একটা কিছু করতে চেয়েছে।  তারা তখন গল্প করার চেষ্টা করে বারবার একটি গল্পে ফিরে আসে। বারবার একেই গল্প বলার কারণে গল্পটি পাল্টে যায়।

এক ছেলে তার ছোট ভাইকে বলে, আচ্ছা কোষ ছাড়া কাঁঠাল যে বিক্রি করেছে সে ওই টাকায় কী করেছে? ছোট ভাই বলে, লোকটা মেলা থেকে লতা-পাতার  সেপাই কিনেছে। মেঝো ভাই বলে, না—লেফট রাইট কিনেছে।

বড় দুই ভাই হেসে ওঠে। তখন ধীরে ধীরে নদীর চরের ধুলি ঝড় আরও বাড়তে থাকে।

চরের অন্য ঘরে এক মেয়ে তার নানিকে বলে, কোষ ছাড়া কাঁঠাল কী নানি? নানি বলে,  কোষ মানে রস, রস মানে মিষ্টি, মিষ্টি মানে ভালো ব্যবহার, ভালো ব্যবহার মানে জ্ঞানের পরিচয়। কোষ নাই মানে জ্ঞান নেই। নাতনি তখন কান্না করে ওঠে। নানি বলে, কাদিস কেন মাগি? নাতনি বলে, আমি তো বোকা, আমার কোন জ্ঞান নেই। নানি আমার কী হবে?

গ্রামের দক্ষিণ প্রান্তের এক ঘরে এক বয়স্ক মহিলা তার ছেলেকে বলে আচ্ছারে বাপ, সাইদুর মাস্টারকে যে ঠকাল তার কি বিচার হবে না? ছেলেও বয়স্ক, ছেলে বলে, পরকালে কাঁঠালের কোষ নিয়ে কাঁঠাল নিয়ে কোন বিচার হবে না। বয়স্ক মহিলার তখন মন খারাপ হয়ে যায়। মহিলার মনে হয় পরকালে কাঁঠাল বিষয়ে কোন আলোচনা হবে না সত্য, কোষ নিয়ে কথা হবে না সত্য। কিন্তু  জেনেশোনে লোক ঠকানোর বিচার হবে। তখন আকাশে ধূলি উড়ানি মেজাজ আরও চড়া হতে থাকে।

দীর্ঘ সময়ের পর উড়ানি কমে এলে আকাশে পূর্ণিমা দেখা দিলে চরের এক লোক ঘর থেকে বের হয়ে বলে, আহা কী সুন্দর বৈশাখী পূর্ণিমা। এমন পূর্ণিমায় মধুমতি নদীর তীরে কে যেন জন্ম নিয়েছিল গো। আরেক জন ঘর থেকে বের হয়ে বলে, আহা এমন পূর্ণিমায় জন্ম নেয়া কে যেন ঘর ছেড়ে মা ছেড়ে বাপ ছেড়ে স্ত্রী ছেড়ে পুত্র ছেড়ে পথে নেমে ছিল  গো। আরও এক লোক বের হয়ে বলে, কোষ ছাড়া কাঁঠালের কথা কেন মনে পড়ে গো! তখন আরেকটি লোক বের হয়ে বলে, যে শিয়ালটি এমন বীজ হাগু করল সে শিয়ালের কী হবে  গো?
তখন আরেক জন বের হয়ে বলে, সেই শিয়ালটি মারা যাবে গো... শিয়ালটি মারা যাবে গো... শিয়ালটি মারা যাবে।


কাজী মোহাম্মদ আলমগীর গল্পকার, প্রাবন্ধিক এবং সাহিত্য সম্পাদক। তিনি ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পে অংশ গ্রহণ করেছিলেন। দ্বিতীয় গল্পগ্রন্থ টেরির বীজ ইরার কষ প্রকাশিত হবার পর দীর্ঘ ১২ বছর পর ২০২১-এ তার তৃতীয় গল্পের বই ট্রমা পরবর্তী ভাইবোন প্রকাশিত হয়।

menu
menu