দুটি কবিতা ।।। ফারহানা ইলিয়াস তুলি

অনন্ত রক্তগোলক
সারি থেকে সটকে পড়ছে মধ্যরাত।
মুণ্ডুহীন শিশুদের দেহটি কাঁপছে, কয়েকঘণ্টা
আগেও প্রাণ ছিল, প্রতিপত্তি ছিল, প্রতীক ছিল।
মানুষের মৃত্যু বিশ্বে নতুন কোনো খবর নয়।
বরং যারা হেসে হেসে উদযাপন করে
মরণের দীর্ঘ যাত্রা—
আমি তাদের দিকে আর তাকাই না!
চোখ বন্ধ করে গাজাবিহীন বিশ্বমানচিত্রের
পাতা উল্টাই।
একটি রক্তগোলক, আমার বুক বিদ্ধ করে
ঘাতকদের মসনদের দিকে ধাবিত হয়।
পতিত পূর্বকথা
কেউ নিজের জীবনের সাথে মিশিয়ে রাখে
কিছু পতনপ্রিয় দিন। মোমবাতির সলতের
মতো যৌগিক নিবন্ধনকে পাঠ্যবই ভেবে,
খুনিদের সাথেই পাতে সংসার।
সকল সংসারের আয়ু সমান নয়।
একথা জেনেও, অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায়
মানুষ যখন অধিক হিংস্র হয়ে ওঠে—
পৃথিবীতে প্রতিটি পুষ্পের তখন,
অকাল মৃত্যু হয়,
মানুষ সেই চিরবিদায় দেখে না,
দেখে কিছু বিষাদগ্রন্থ কেবলই
পঠিত হচ্ছে, পাখিদের ঠোঁটে ঠোঁটে।
ফারহানা ইলিয়াস তুলি কবি। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা পাঁচটি। তিনি আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাস।